বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী থেকে এম কে রানাঃ— পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় চলতি বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে দাম নিয়ে শঙ্কিত। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। ক্ষেতে পাকা ধান দেখে বাম্পার ফলন আশা করছেন উপজেলার কৃষকরা। সেই সঙ্গে শঙ্কায়ও রয়েছেন ন্যায্য দাম নিয়ে। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া, দক্ষিন দাসপাড়া, গছানী ও বহরমপুর ইউনিয়ানের বগুড়া গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে মাঠভরা পাকা আমন ধান।
আরও পড়ুনঃ পটুয়াখালীতে ২য় ব্যাচের সাইন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত
চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা আশা করছেন আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে তবে ন্যায্য দাম নিয়ে চিন্তায় রয়েছে। তবে বাম্পার ফলন আশা করলেও গতবারের বাস্তব অভিজ্ঞতার কারণে এ বছরও ধানের দাম নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন কৃষকরা। তাদের দাবি, ধানের সঠিক দাম পেতে এখন থেকেই সরকারি তৎপরতা শুরু করা হোক।
আরও পড়ুনঃ পটুয়াখালীতে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালিত
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ২১ হাজার ১শ” হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে। মাঠ ঘুরেও এমন চিত্রই পাওয়া গেছে। তবে অসময়ের বন্যায় বেশ কিছু জমির ফসল ডুবে গেলেও সেগুলো নিয়ে চিন্তিত নয় কৃষিবিভাগ। তাদের দাবি, বন্যায় নীচু জমির ধান ডুবে গেলেও বন্যার স্থায়িত্ব কম থাকায় তেমন একটা ক্ষতি হয়নি আমনের। এ ব্যাপারে বগুড়া গ্রামের কৃষক মোঃ ইউনুছ তালুকদার(৪৫), নশা মিয়া(৫৫), আলতাব হোসেন(৫৩) জানান, তারা সবাই বর্গা চাষি। প্রতি বছর ৪-৫একর জমি চাষ করছেন তারা। কীটনাশক, সার, সেচের পানি, শ্রমিকের মজুরি, মজুদ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতের ক্রমবর্ধমান খরচের পর ধানের ৫শ’ থেকে ৬শ”টাকায় চলতি বাজার তাদের মনে ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে। গত মাসের শেষ থেকে শুরু হয়েছে ধানা কাটা।
আরও পড়ুনঃ বেনাপোলে বিপুল পরিমান ইউএস ডলার সহ আটক-১
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ বনি আমিন খান বলেন, এ বছর আমাদের আমন ধানের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা ছাড়িয়ে গেছে। ধানের দাম প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, কৃষকরা যদি ধানের ন্যায্যম‚ল্য পায় তবে ধানের উৎপাদন প্রতিবছর এভাবেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply